জেরুজালেমে অবস্থিত পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলের হামলায় আন্তর্জাতিক ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)’র স্থায়ী সদস্য দেশগুলোর নির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় বাংলাদেশ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী সোমবার (২৫ এপ্রিল) জেদ্দায় ওআইসির সভায় যোগ দিয়ে পবিত্র আল আকসা মসজিদ ও ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি বাংলাদেশের শোক এবং গভীর সমবেদনা জানান।

বাংলাদেশের সৌদি দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, এই পবিত্র রমজান মাসে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের পবিত্র মসজিদে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তাদের ধর্মীয় আচার পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক বিষয়। সেখানে ইসলামি মতাদর্শ, সংস্কৃতির ওপর আঘাত ও দখলদারিত্বের মাধ্যমে ফিলিস্তিন মুসলিমদের উচ্ছেদের বিষয়টি দুঃখজনক।

জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, কোনো যুক্তি বা অজুহাতই নিরীহ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হত্যা ও নির্যাতনের ন্যায্যতা ও আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমর্থন করতে পারে না।

ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি বলেন, বাংলাদেশ আল আকসা মসজিদ এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সমগ্র দখলকৃত ভূমিতে সহিংসতা এবং নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানিয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে চলমান নতুন কোনো সংকট ও সংঘাত যেন জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ ফিলিস্তিনের এই দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান থেকে সরানো সঠিক হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতিসংঘের গৃহীত রেজুলেশন, আরব শান্তি উদ্যোগ এবং কোয়ার্টেট রোড ম্যাপ অনুযায়ী ফিলিস্তিন সমস্যার একটি সামগ্রিক ও টেকসই সমাধানের বিষয়ে বাংলাদেশ তার নীতিগত অবস্থান অব্যাহত রেখেছে। তিনি ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানে ওআইসিকে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।

সৌদি আরবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি এই বৈঠক শেষে সর্বসম্মতিক্রমে একটি যৌথ ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়।